নিজস্ব প্রতিবেদক,
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিশোরী ওই প্রেমিকার সাথে আরো কয়েকজনের সম্পর্ক থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রেমিক মনিরুল ইসলাম (২০)।
মনিরুল উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। আর ধর্ষণে অংশ নেয়া তার দুই বন্ধু হলো- একই গ্রামের মজনু শেখের ছেলে অসীম শেখ (২০) এবং শরিফুল শেখের ছেলে শহীদ শেখ (২২)। ধর্ষকদের মধ্যে শহীদ পলাতক রয়েছে।
গত শনিবার (২৭ জুলাই) গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ মাধুকরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রেমিক মনিরুল জবানবন্দিতে জানায়, ১৪ বছরের এক কিশোরীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম চলাকালীন সে জানতে পারে ওই কিশোরীর সাথে আরো কয়েকজনের সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সহযোগী বন্ধু অসীম ও শহীদকে সাথে নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ওই কিশোরীকে কৌশলে তার বাড়ির পিছনে ডেকে এনে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা উভয়পক্ষই চাপা দিলেও পরবর্তীতে কিশোরীটি অসুস্থ হওয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত ১৯ এপ্রিল ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে মনিরুল ও অসীম ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ মাধুকরকে বলেন, মামলার অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে মনিরুল ও অসীমকে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী।
© ভোরের কন্ঠ - ২০২৪