মো: রবিউল ইসলাম
ক্রাইম রিপোর্টার:
১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) সাদিক ২০ নামের এক যুবক তার ভাইয়ের শ্বশুরের বাসায় দাওয়াত খেতে যায় ঐ খানে আকাশ ২১ নামের এক যুবকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বাসার উদ্দেশে রওনা দেয় তারপর তাদের মোটরসাইকেল ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঐ খানে মৃত্যু হয় সাদিকের।
সাদিকের পরিবারের কেউই এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করছেন না। সাদিকের বড় ভাই সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনা যদি এক্সিডেন্ট হয়ে থাকে তাহলে গাড়ির কোন ক্ষয়ক্ষতি হলো না কেন? আর আমাদেরকে সর্বপ্রথম আকাশের বাবা বলেছেন আপনার ভাই ও আমার ছেলে দুইজনেই মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
কিছুদিন পর আমরা জানতে পারি আকাশ এখনো বেঁচে আছে এবং সে পলাতক। এখন আমাদের সন্দেহ বাইক এক্সিডেন্টে যদি দুইজনেই মারা যান তাহলে আকাশ বেঁচে থাকেন কিভাবে? এবং আমার ভাই মারা যান কিভাবে? তাই আমরা আমার ভাইয়ের খুনের সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য থানায় আকাশের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তারই প্রেক্ষিতে আজ কবর থেকে তদন্তের জন্য লাশ তোলা হবে।
বগুড়া টাইমস আরো জিজ্ঞেস করেন সাদিকের বড় ভাই মোশারফ হোসেনকে পূর্বে কি আপনাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব ছিল? মোশারফ হোসেন জানান, আমার সন্দেহ আকাশ আমার স্ত্রীকে পূর্বে একতরফা ভালোবেশে ছিল। তার জেরেই আমার ভাই সাদিক কে খুন করেছে আকাশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজাউল করিম বলেন, লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে রংপুর ফরেনসিক ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।