Tuesday, December 24, 2024
Homeঅপরাধনওগাঁয় খাস জমি দখল করে অফিস ঘর নিমার্ণ,একটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা...

নওগাঁয় খাস জমি দখল করে অফিস ঘর নিমার্ণ,একটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ

আব্দুর রশীদ তারেক

নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের ইয়াদ আলী মোড় এলাকায় চলাচলের রাস্তা না দিয়ে জোরপূর্বক খাস জমি দখর করে দলীয় অফিসঘর নিমার্ণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেনা ক্যাম্প,সড়ক বিভাগ ও এসিল্যান্ড অফিসে লিখিত অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ওই এলাকার বাসিন্দা নুরজাহান বেগম।

তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের দক্ষিণ পাশে নয়নজলি সংলগ্ন দোগাছিয়া মৌজার জেএল নং ২৩০ খতিয়ান নং ৩৬৪ ও দাগ নং ৯৬এর খাস সম্পত্তিতে বড় বড় গাছ কেটে স্থানীয় বিএনপি নেতা বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাপুর এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান, একই এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে মকছেদুল, আব্দুল আজিজ ও শফিকুল ইসলাম, লিলা হোসেনের ছেলে সুবির, হেলাল, অবির এর ছেলে মাহফুজ ও মাসুদ রানা আব্দুল ফজলের ছেলে বিপ্লব সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭থেকে ৮জন জায়গাটি দখলে নিয়ে দলীয় কার্যালয় করার জন্য অবৈধভাবে ঘর নিমার্ণ কাজ শুরু করে। এতে করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় নুরজাহানের। নওগাঁ সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা(এসিল্যান্ড) বরাবর অভিযোগ করলে তিনি জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং ২০ শতক খাস সম্পত্তি নিশ্চিত হয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য মৌখিক ও পরে নোঠিশ করেন। নোটিশের তোয়াক্কা না করে তারানিমার্ণের কাজ অব্যাহত রাখে। তারা বাদীকে হুমকি ও মিথ্যা মামলা দেয়ার ভয়-ভীতি দেখায়।

অভিযোগ রয়েছে পুরাতন একটি পাইকর সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেয় তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নুরজাহানের বাড়ির পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে বের হওয়ার কোন উপায়নেই।

শুধুমাত্র উত্তর দিক গোরস্থানের পাশ দিয়ে ওই খাস জমির উপর সড়কে সংযোগ করে চলাচল করতে পারবে।অভিযোগকারী স্কুল শিক্ষক নুরজাহান বেগম বলেন, অবৈধ নিমার্ণ কাজে বাধা দিলে আমাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি, হুমকি-দামকি দেয়া হচ্ছে। এই নয়নজলি ও খাস জায়গার দক্ষিণ পাশে আছে খাস জায়গা আর এর সঙ্গে রয়েছে আমার বাড়ি। কিন্তু নয়নজলির উপর দিয়ে রাস্তা করা ছাড়া আর কোন পথ নেই। অবৈধ নিমার্ণ করলে আমার বাড়িতে যাওয়া আসার একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নিরসনের জন্য প্রশাসনসহ সকলের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

এব্যাপারে অভিযুক্তদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম জানান, ৯৮ ও ৯৭ দাগ এই জমি ৯৮দাগ ১৭শতক এর মধ্যে ৫শতক খাস ও ১২শতক মালিকাধীন। ১২ শতকের মধ্যে ১শতক আমাদের কেনা আছে। আর ১শতকের পেছনে আছে কবরস্থান এর মালিক সেলিমগণ। তার পেছনে জায়গা গাবতলী মেশিনারীজের। পূর্বদিকে নুরজাহান ও তার দুই ভাই মিলে জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। পশ্চিম দিকে মোতালেবের বাড়ি। নুরজাহানের এই জায়গার পেছনে কবরস্থান,এরপর গাবতলী মেশিনারীজের জায়গা।নুরজাহানসহ দুই ভাইয়ের রাস্তা তার বাড়ির সামনে দিয়ে। শুধু মাত্র আমাদের হয়রানী করার জন্য এই অভিযোগ করেছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular