দেশজুড়ে চলমান তাপদাহে ওরস্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধুচক্র কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে কারখানা স্থাপন করে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হুবহু এসএমসি স্যালাইনের মতো দেখতে নকল স্যালাইন তৈরি করে আসছিল একটি চক্রটি। এতদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও সম্প্রতি এই চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সজিব মিয়া, হৃদয় ও সামসুল আলম।
হারুন অর রশীদ বলেন, এসএমসির ওরস্যালাইন-এন এর মতো এসএনসির ওরস্যালাইন-এন নামে নকল ওরস্যালাইন তৈরি করতো একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
তিনি বলেন, ওরস্যালাইন এন, এটা হলো এসএমসি। এতে কোনো কালো দাগ নাই। কিন্তু তারা এর আদলে একটা নকল স্যালাইন বানিয়েছে, যেটা কালো দাগ আর এসএমসির জায়গায় এসএনসি লেখা। দেখে বোঝার উপায় নেই সেগুলো নকল স্যালাইন। এসব ওরস্যালাইন বিক্রি করা হতো মিডফোর্টে। সেখান থেকে সরবরাহ করতো দেশের বিভিন্ন স্থানে। অনেক কৃষক, মজুর, রিকশাচালক সেগুলো খাচ্ছে।
ডিবিপ্রধান বলেন, এসব ওরস্যালাইন তৈরিতে ব্যবহার করা হতো চিনি ও লবণের মিশ্রণ। যা খেলে কিডনি ছাড়াও লিভারের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। চক্রটির ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ২৮শ’ প্যাকেট নকল খাওয়ার স্যালাইন।
হারুন অর রশীদ বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে বাজারে স্যালাইনের চাহিদা বাড়ায় সুযোগটি কাজে লাগায় তারা। এই চক্রের আরও একজন পলাতক রয়েছে। তবে তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের একটি দল গত ২ মে পৌনে ৮ টার দিকে ৮৯/১ কাকরাইল সুপার মার্কেট মুসলিম রেস্তোরাঁর সামনে পাকা রাস্তায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা জানান, কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি কারখানায় ওই নকল স্যালাইন তৈরি করা হতো। পরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওরস্যালাইন ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা জানান, এসএমসির ওরস্যালাইন-এন এর মতো এসএনসির ওরস্যালাইন-এন এবং টেস্টি স্যালাইন ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভেজাল ওষুধ ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়ার কাছ থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো
সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী।
© ভোরের কন্ঠ - ২০২৪