Tuesday, December 24, 2024
Homeঅপরাধব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ খলিলুর রহমান খলিলঃ

গত ১৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ও নৈশ প্রহরীর পদে নিয়োগ পরিক্ষা হয় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় কোরাম হলেও নৈশ প্রহরীর পদে কোন কোরাম হয়নি। নিয়োগ পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা যায় প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় দুই জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় সমান নাম্বার পেয়ে প্রথম হয়েছে। তবে মোঃ শফিকুল ইসলাম সার্টিফিকেটের নাম্বার অনুযায়ী এগিয়ে থাকলেও নিয়োগ কমিটি এনামুল হক কে নিয়োগ দেন। কিন্তু পূর্বের প্রতিষ্ঠানে এনামুল হকের বিভিন্ন অর্থিক অনিয়ম বোর্ডে শোকজ সহ বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। নিয়োগ কমিটিও পূর্বের প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অবগত হয়,নিয়োগ কমিটি খুব দ্রুত সময়ে বিষটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় কাইতলা যজ্ঞেশর উচ্চ বিদ্যানয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও সভাপতি অনিয়ম করে মোঃ এনামুল হককে নিয়োগ দিতে ইচ্ছুক। এবিষয়ে জানতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এনামুল হক বলেন আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আমি জানি কিন্তু আজকে জানতে পারলাম নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে আর আমার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে এ বিষয়ে জানতে কলদিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অভিভাবক সদস্য প্রফেসর আবু সাইদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এনামুল হক নিয়োগ পরীক্ষায় ১.৫ নম্বর কম পেয়েছিল কিন্তু তার বাচন ভঙ্গি চমৎকার ও দেখতে স্মার্ট হওয়ায় সকলের সম্মতিক্রমে আমরা এনামুল কে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ দেওয়ার পর ওনার বিষয়ে অভিযোগ উঠে ওনি বর্তমানে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর বাকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত আমরা তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ না পাওয়া শফিকুল ইসলাম বলেন আমি নিয়োগ পায়নি এতে আমার অভিযোগ নেই তবে, কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিতে চাইলে অবশ্যই যোগদান করবো।

নৈশ প্রহরী পদে আবেদন কৃত তিনজন প্রার্থী উপস্থিত হয়নি তারপরেও কোরামের নিয়ম অনুসরণ না করে মোঃ রবিউল্লাহকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের সাথে অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

RELATED ARTICLES

Most Popular