গাজীপুরের শ্রীপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক পোশাক কারখানার শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। নিহতের স্বজনেরা জানান, মারা যাওয়ার আগে ওই যুবক অভিযুক্তদের নাম বলে গেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের বহেরারচালা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। দিবাগত রাত ২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত আব্দুল লতিফ (৩০) শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের বহেরারচালা এলাকার আব্দুর খালেকের ছেলে। তিনি স্থানীয় নিট হরাইজন নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
নিহতের বোন খাদিজা আক্তার বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে ঈদের দাওয়াতের কথা বলে স্থানীয় শিরিনা ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এরপর স্থানীয় মোফাজ্জল হোসেনসহ তাঁরা রাতের খাবার খায়। খাবার খেয়ে শিরিনার বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছু দূর আসা মাত্রই অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেন বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে ভাইয়ের মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ির পাশে নিয়ে আসে। আহত অবস্থায় আমার ভাই অভিযুক্তদের নাম বলে গেছেন।’
নিহত পোশাকশ্রমিকের ছোট ভাই রাব্বি বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। ওই বাড়িতে সে রাতের খাবার খায়। বের হয়ে আসার সময় প্রতিবেশী মোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তি তাকে পেছন থেকে লাঠি আঘাত করে। তাতে আমার ভাই গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ির পাশে রেখে যায়। এরপর আমরা তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।’
রাব্বি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকবর আলী খান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।