নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডি এস কামিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মৌলভী আব্দুর রউফ কে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত ভেঙেছেন এবং মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন । আহত অবস্থায় আব্দুর রউফ বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথায় ১৫ থেকে ২০ টা সেলাই পড়েছে।গুরুতর আহত আব্দুর রউফ বলেন (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুর ২ টার সময় বাড়ি থেকে বের হলে হঠাৎ করে ৯০ থেকে ১০০ জন সন্ত্রাসী আমাকে বিভিন্ন অস্ত্র লোহা,হেসে , লাঠি, দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য মারতে থাকে এবং আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে মোটরসাইকেল টিভি নগদ ২ লক্ষ টাকা তারা নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে সাথে আমার ছেলেকেও আঘাত করেছেন আমরা বাবা ছেলে দুজনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। গুরুতর আহত আব্দুর রউফ কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন ধুরইল ডি এস কামিল মাদরাসার অবৈধ প্রিন্সিপাল নিয়োগে অধ্যক্ষ মোঃ দুরুল হুদার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কড়াই তার নেতৃত্বে তিনি তার লাঠি বাহিনী দিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেছে। এমতাবস্থায় আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা মনে করেছে মারা গেছে বলে চলে যায়। তিনি কয়েকজন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করেন যেমন, হাজী মহাসিন, জিন্নাত ও কলাম পিতা – মংলা, হাজী মহাসিন এর দুই ছেলে আলামিন,ও আমিনুল,মোঃ মিলন ও সুমন পিতা- আজিজ মণ্ডল , আব্দুল বারী, পিতা আক্কাস,এখলাস পিতা- সোরাব, আব্দুর রহমান পিতা – আব্দুর রাজ্জাক সহ ৯০ থেকে ১০০ জন।
তিনি আরো জানান এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুস্থ তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা করা হোক। এ বিষয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে মোহনপুর থানায় একটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।