আব্দুর রশীদ তারেক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫বছর ফ্যাসিস আওয়ামীলীগ সরকার দেশে গুম, খুন, নির্যাতন, লুটপাট চালিয়ে দেশকে তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন। জালিম সরকারের হাত থেকে দেশের দামাল ছেলেরা মুক্ত করেছে। তিনি আজ শনিবার ( ১৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে নওগাঁ জেলা জামায়াতের রুকন সস্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর খ,ম আ: রাকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াত ইসলাশী কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যক্ষ মো: শাহাবুদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চলের সহ: পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আমীর ড: মো: কেরামত আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য খ,ম আব্দুর রাকিব, ইজ্ঞি: এনামুল হক, অ্যাড: আ,স,ম সায়ে, অধ্যাপক মো: মহিউদ্দীন, মাও: হাবিবুর রহমান, সাবেক শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী ও খুলনা মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য আ ,স,ম মামুন শাহীন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাখফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ওয়ান এলেভেনের পর আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেড় মাসের মাথায় পিলখানার ৫৭জন সেনা সদস্য হত্যার মাধ্যমে এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। পরের বছর ২৯ জুন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর তৎকালীন আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটরী জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এরপর একের পর এক মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন করে দেশকে একটা অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছিল।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ ছিল অসহায়। সেসময় আমাদের শতশত নেতাকর্মীকে হত্যা, খুন, গুম করা হয়েছিল। এসময় এক এক করে বিচারের নামে প্রহসন করে ১১জনকে হত্যাকরে।
তিনি আরো বলেন, জামায়তের সারাদেশের সকল অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের অন্যায়ভাবে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েেিছে। আমরা স্বস্তির সাথে কোথাও এক মিনিট দাঁড়াতে পারিনি। সর্বশেষ আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়। এ বিবেচনায় জামায়াতে ইসলামী সব চাইতে মজলিম দল।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পাঠ্যপুস্তকে আনতে হবে।নিহত পরিবারদের যোগ্য ব্যক্তিদের সরকারী চাকুরী দিতে হবে। আমারা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।ম যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ প্রত্যেকটা মানুষকে সন্মান দিবে। নিজের অধিকারের উপর আরেকজনকে অগ্রাধিকার দিবে।