Tuesday, December 24, 2024
Homeসেবাসাংবাদিকতার ইতিহাসে এম কাজল খান'র সফলতার কিছু কথা

সাংবাদিকতার ইতিহাসে এম কাজল খান’র সফলতার কিছু কথা

কলামিষ্ট আপেল মাহমুদ

সাংবাদিকতার ইতিহাসে এম কাজল খানের স্মৃতি বিজরীত কিছু কথা আপনাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছিসেই ৮৮ বন্যার সময়তাহার চাচা সাংবাদিক আফজাল হোসাইন কে অনুসরণ করে, সাদা কালো ক্যামেরায় ফ্লিম দিয়ে ছবি তোলা, বন্যাত্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের অসংখ্য চিত্র ধারণ যা আজও স্মৃতি হয়ে আছে।৮৮ সালের বন্যার সময় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে আমিও সফরসঙ্গী হই ততকালীন রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে।

আফজাল হোসাইন সাহেব ছিলেন আমার সহ যোদ্ধা সাংবাদিক, এম কাজল খান তখন অনেক ছোট ছাত্র, সেআমাকে বার বার রিকুয়েষ্ট করে, সাংবাদিকতার একটা কার্ড করে দিতে, আমি তখন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পল্লিবার্তায় কাজ করি, আমি এম কাজলের প্রতিভা ও অসাধারণ ছবি তোলার গুণ দেখে মুগ্ধ হই এবংআমি নিজের টাকা খরচ করে ২/৩ মাস পর আমাদের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের একটা কার্ড করে দেই। শুরু হয় তার সাংবাদিক জীবন এরই মাঝে তার পরিচয় হয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সাহেবের সাথে, জনাব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সাহেব এম কাজল খানের মেধা ও প্রতিভা দেখে ওনার পত্রিকা দৈনিক আজাদ এ কাজ করার সুযোগ দেন এবংকাজের সুযোগে সে মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সাহেবের একজন আস্থা ভাজন হিসেবে তার মনে পুরো জায়গা করে নেন।

এম কাজল খানের একটাই ইচ্ছে ছিলো ভালো একটা দৈনিক পত্রিকায় কাজ করা, জনাব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সাহেব কাজল এর আশা পুরনের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক এর সম্পাদক মন্ডলির সাথে কথা বলেন সে সময় আমিও জনাব মোহাম্মদ আলতাফ সাহেবের সাথে ছিলাম।

জনাব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সাহেব আমাকে আস্বস্ত করে বলেন কাজল সাংবাদিকতায় একদিন অনেক সুনাম অর্জন করবে, আমি তার ইচ্ছে পুরন করবো ই ইনশাআল্লাহ।

৯০ এর অসহযোগ আন্দোলন এর সময় মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের অনুরোধে দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক মহোদয় কাজল কে ডেকে নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ করে দেন। আর এভাবেই সফলতার দিকে এগিয়ে যান তরুন যুবক কাজল খান।এরপর বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সুনামের সহিত কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়।

পারিবারিক কিছু সমস্যার কারনে বেশ কিছু দিন সাংবাদিকতা থেকে বিরত থাকতে হয় তাকে, কিন্তু লেখা লেখি তার নেশায় পরিনত হওয়াও আবারও ফিরে আসেন সাংবাদিকতায়নিয়মিত লেখা লেখি করতে করতে থাকেন বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়, সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট, সফলতার সিড়ি বেয়ে একের পর এক অর্জন যুক্ত হতে থাকে তার কর্মময় জীবনে।

তার সফলতা ও কর্মময় জীবনের কিছু চিত্র আপনাদের সামনে পেশ করছি.. কর্ম জীবনের শুরু সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পল্লিবার্তা ১৯৮৮ ইং, দৈনিক আজাদ ১৯৯৯ ইং, দৈনিক ইত্তেফাক ১৯৯০ইং, দৈনিক প্রথম ভোর ২০০২ ইং পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় সাপ্তাহিক বিশ্ববাংলা , জাতীয় সাপ্তাহিক এশিয়া বার্তা, জাতীয় দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল, দৈনিক মুক্ত খবর, দৈনিক বর্তমান দেশবাংলা, জাতীয় সাপ্তাহিক মুক্ত বাংলা, জাতীয় সাপ্তাহিক তদন্ত রির্পোট পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

সাংগঠনিক ভাবেও তার দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন, ১৯৯১ সাল থেকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন,১৯৯৩ সালে জাতীয় প্রেসক্লাব সদস্য, এছাড়া ১৯৯২ সালে ঢাকা প্রেসক্লাব এর ঢাকা মহানগর, সদস্য, ২০২৩ সালে ঢাকা প্রেসক্লাব গাজীপুর মহানগর এর আহ্বায়ক, এবং২০২২ সালে বাসন মেট্রো থানা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন,সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব গাজীপুর সহ সভাপতি ও ২০২৪ সালে সামাজিক সংগঠন সময়ের বাতিঘর উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।সর্বশেষ গাজীপুর জেলার অবহেলিত সাংবাদিক সমাজের নিরাপত্তা ও অধিকার আদায়ে প্রতিষ্ঠা করেন, গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি ( জিডিআরইউ) যা বর্তমানে গাজীপুর জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের কাছে আস্থা ও ভরসার একমাত্র ঠিকানা। আমি মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি আল্লাহ আমার প্রিয় কাজল খানের নেক হায়াত দান করো, দেশ ও জাতির কল্যাণে তাকে কবুল করো, আমি এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে দেখে যেতে চাই, আমার শিষ্য এম কাজল খান যেন সততা ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে, সবার দোয়া ভালবাসায় অর্জন করতে পারে।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থ জীবন ও নেক হায়াত দান করেন৷ আমিন।

RELATED ARTICLES

Most Popular