নিজস্ব প্রতিবেদক,
গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আখতার বলেছেন, ‘গাজীপুরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিন স্তরের ড্রেসকোড নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এর ফলে হাসপাতালে দালাল ও বহিরাগতদের চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়া, ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) ডাক্তারের নাম ঠিকানা লিখে রাখতে হবে। এই কার্যাক্রম আগামী সপ্তাহ থেকে সিভিল সার্জন অফিসের তদারকিতে বাস্তবায়ন করা হবে।’
বুধবার (১৭ এপ্রিল, ২০২৪) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন (গাপা) আয়োজিত হাসপাতালে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ, উপযুক্ত আবাসন ও সেবা নিশ্চিতে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন সির্ভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আখতার বলেন, লাইসেন্সবিহীন কেউ হাসপাতাল চালাতে পারবেন না। সরকারি হাসপাতালে যেমন ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকে, ঠিক সেরকমই বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রাখতে হবে। লোকবলের অভাবে আমরা সবকিছু তদারকি করতে পারি না। সবাইকে সচেতনতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
সভায় প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা পরিবেশ বান্ধব, সরকারি সনদ, দূষণ রোধ, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন এবং লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল যাতে চলতে না পারে সেদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আখতারের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন গাজীপুর প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক অওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোহাম্মদ কমরউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল মোল্লা,শ্রীপুর শাখার সভাপতি ডা.মোহাম্মদ আবুল হোসাইনসহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকের সহ গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস, তথ্য সম্পাদক গোলাম মওলা, সদস্য এনামুল হক, হাসান আলী প্রমুখ।
সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী।
© ভোরের কন্ঠ - ২০২৪