আবদুল বারী
গাজীপুর স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরবময় ৭৫ তম প্রতিস্ঠা বার্ষিকী পালিত হয় ২৩ জুন ২০২৪ রবিবার বিকাল ০৩ ঘটিকায় গাজীপুর মহানগর বাসন থানাধিন চান্দনা চৌরাস্তা, চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে। অনুষ্ঠানটি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড: মো: আজমত উল্লা খান এরসভাপতিত্বে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আফজাল হোসেন সরকার (রিপন) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আলহাজ্ব এ্যাড : আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এম,পি। আরো উপস্থিত ছিলেন, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি (সংরক্ষিত মহিলা আসন – ৩১৩) গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আতাউল্লাহ মন্ডল , গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এস এম মোকছেদ আলম , আলহাজ্ব মো: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কৃষি ও সমবায় সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ, আলহাজ্ব আব্দুল বারী প্রফেসর – সভাপতি , বাসন থানা আওয়ামী লীগ প্রমুখ ।আরও উপস্থিত ছিলেন , জেলা, মহানগর, থানা, ওয়ার্ড এর নেতৃবৃন্দ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম কর্মীগণ ও সর্বস্থরের আওয়ামী লীগের সমর্থকগন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ভ্যনপার্টি বাধ্য যন্ত্রে আকর্ষনীয় শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে এবং প্রতিস্ঠা বার্ষিকীর অনুস্ঠানের মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা। প্রধান অতিথি ও উপস্থিত বক্ততাগন বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ এই পথ চলার সংগঠনটি বাঙালি জাতীর অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার দাড়প্রান্তে ৭৫ তম প্রতিস্ঠাবার্ষিকী পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্যের অর্জনে ৭৫বছর প্রতিস্ঠা বার্ষিকী পালন করছে। আমরা ১০০ ( একশ) বছর প্রতিস্ঠা বার্ষিকী আরও সাফল্যের সাথে পালন করব ইনশাআল্লাহ । ১৯৮৪ সালের২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেন পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিস্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটিপ্রতিস্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠারসময় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয় ভাবে লিখিন পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করাহলে ও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম আওয়ামী লীগ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুস্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। পুর্ব পাকিস্তান শব্দ দুইটি বাদ পড়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সন কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। জননেত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। আজ বঙ্গবন্ধুরকন্যা, রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।সভাপতি সমাপনী বক্তব্য রেখে দোয়া ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।