আব্দুর রশিদ তারেক- নওগাঁ
বগুড়ার আদমদিঘিতে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে গরুর ক্ষুরা রোগ। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার সান্তাহার ইউপির দমদমা গ্রামে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০টির মতো গরু মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন খামারি ও কৃষকরা। এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে এলাকার বেশিরভাগ গবাদি পশু।
দমদমা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী হাসান জানান, তার খামারে পালিত ১২টি গরুর মধ্যে কোরবানির ঈদে ৯টি গরু বিক্রি করেছিলেন।
বাকি তিনটির মধ্যে হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের (১২০০ কেজি ওজন) গরুটি হঠাৎ ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে গত রবিবার সকালে মারা যায়। এতে তিনি সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে গ্রামে প্রায় ২৫-৩০টি গরু মারা গেছে। একটি পাড়াতেই ১৫-২০টি গরু মারা গেছে।
অসংখ্য গরু আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে পরামর্শ দিতে আসতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে খামারি ও কৃষকরা তাদের গরু নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামজুড়ে গরুর রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে রবিবার সকালে ওই গ্রামে গিয়েছিলাম।
ওই গ্রামের যেসব গরু মারা গেছে সেগুলো ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত ছিল। এজন্য অন্য যেসব গরু আক্রান্ত হয়েছে প্রত্যেক খামারির বাড়িতে গিয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খামারি হাসানের গরু গুরুতর অসুস্থ ছিল না হঠাৎ মারা গেছে। এই রোগ থেকে প্রতিকার পেতে আগে থেকে টিকা দিতে হবে।
তা না হলে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরুকে ওষুধ ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেও বাঁচানো সম্ভব হয় না। তারপরও এসব বিষয় জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জানানো হয়েছে। সম্ভবত সেখান থেকে একটি টিম এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।