ঝিনাইদহ কালিগন্জ থেকে।★–মোঃমাহাবুবুর রহমান।
(৬-জুলাই) শনিবার ঝিনাইদহ কালিগন্জে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,সবজির দাম বেশি ক্রেতারা দিশেহারা। দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দামসহ নিত্য পন্যের দাম অনেকটা বেড়েছে। চালের চেয়েও দাম বেশি,আলু, পেয়াজ, আদা, রসুনের। মানুষ এবার আলুর বদলে কী খাবে?পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের মৌসুম শুরুই হয়েছে উচ্চ দাম দিয়ে।
ফেব্রুয়ারি মাসে মৌসুমের শুরুতে ঝিনাইদহ কালিগন্জ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০টাকা দরে। মার্চে পেঁয়াজের দাম ৭০/৮০টাকা ছাড়িয়েছিল।এরপর এপ্রিলে কিছুটা কমে আবার তা বাড়তে থাকে। কোরবানি ঈদের সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা; যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।শুধু গত কয়েক দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে এ সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। অন্যদিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। দেশটির অভ্যন্তরেও পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।এদিকে, বাজারে ৪০/৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি। শসা কেজিপ্রতি ১০০ টাকা, কচুর লতি কেজি প্রতি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, পেঁপে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ২৪০/২৫০ টাকা, বেগুন (লাল, সাদা) কেজিপ্রতি ১৬০/১২০ টাকা,সাদা,আলু কেজি,প্রতি ৬০টাকা,আদা কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা, রসুন কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রিকসা,চালক পলাশ জানান,আমার সারাদিন এর আয়,৪০০ টাকা,বাজার করেছি ১কেজি আলু ৬০,টাকা। ১কেজি পেঁপে ৪০টাকা ১কেজিচিচিঙ্গা ৪০টাকা পিয়াজ১ কেজি ১২০টাকা কচুরলতি ১ আটি ৪০ টাকা কাচাঝাল ১কেজি২৪০ টাকা বাজার করেছি ৫৪০ টাকা।আয়ের তুলনায় ব্যায় বেশি।তাই আমিও দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কাঁচা বাজারের সবজির দাম বেশি তাই ক্রেতারাও দিশেহারা।