মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
কালীগন্জ ঝিনাইদহ থেকে।চলছে শরৎকাল। কখনও নীল আকাশে রোদের দাপট, কখনও হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে নামছে বৃষ্টি। এতকিছু ছাপিয়ে পূজার মার্কেট এবারও জমজমাট। ঝিনাইদহ কালীগন্জ বাজারে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা।
বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে ফিরেছে চিরচেনা ভিড়। সনাতন ধর্মাবলম্বীর নারী-পুরুষসহ সকল বয়সের মানুষ তাদের পছন্দ মতো পোশাক কিনছেন। পোশাকের পাশাপাশি কেনাকাটা করছেন খাবার ও পূজার জিনিসপত্র ছাড়াও উৎসবের সময় সেরা হওয়ার সব অনুষঙ্গ।
জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।এবার ঝিনাইদহ কালীগন্জ উপজেলায় বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এ বছর দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে ও গমন করবেন গজ বা হাতিতে। এই বিশেষ ক্ষণের জন্য অপেক্ষায় ভক্ত অনুরাগীরা।
পূজায় কেনাকাটার জন্য শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণী বিতাণগুলোতে উৎসব প্রিয়দের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। রেডিমেড দোকানগুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তরুণীরা লাল, কমলা ছাড়াও উজ্জ্বল বাহারি রঙের ও বিভিন্ন ডিজাইনের কামিজ, কুর্তি, গাউন, ঘের দেওয়া জামা কিনলেও নারীরা কিনছেন জামদানি ও বিভিন্ন ধরনের সফট কাতান, তসর ও সিল্ক শাড়ি। এ ছাড়া পছন্দের তালিকায় রয়েছে জর্জেট শাড়ি ও হাফসিল্ক এবং দেশি তাঁতের শাড়ি।
মিনছুর প্লাজা মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।নারীদের পছন্দের তালিকায় এখনও শাড়িই সেরা। তারা পছন্দ করে কিনছেন দেশি, ইন্ডিয়ান ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি। শেষ মুহূর্তে ভিড় বেড়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও সাধারণ ক্রেতারাও আসছেন।
পূজার কেনাকাটা করতে আসা শহরের শোভা রানী জানান, সপ্তাহ ধরে তারা পূজা উপলক্ষে কেনাকাটা করছেন। এখনও শেষ হয়নি। পরিবারের সদস্যদের পছন্দের পোশাক-স্যান্ডেল, জুয়েলারি কিনছেন। এ ছাড়া মায়ের জন্য নতুন শাখা, সিঁদুর ও পূজা সামগ্রী কিনেছেন তিনি। শোভা রানী বলেন, এবার সব কিছুর দাম বেশি।
এদিকে, আজ দোকানগুলোয় উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। কেউ কিনছে নতুন শাঁখা, কেউ বা কিনছে পূজার উপকরণ। প্রতিমাকে পরাতে নতুন শাড়ি, সিঁদুর সংগ্রহ করছেন অনেকেই। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এসময় বিক্রি ভালো বলে জানান বিক্রেতারা। এ ছাড়া পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ শহরমুখী হওয়ায় শহরের কেন্দ্রবিন্দু রোডসহ গোটা শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকছে। হঠাৎ বৃষ্টি, গরম ও যানজট এসব ভোগান্তি উপেক্ষা করেই শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে উৎসবের জন্য পছন্দের পোশাক ও পূজার অন্যান্য কেনাকাটা সারছেন উৎসবপ্রিয়রা