Tuesday, December 24, 2024
Homeদেশগাজীপুরে প্রাণের বাংলাদেশের সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

গাজীপুরে প্রাণের বাংলাদেশের সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন

মো: আব্দুল বারী:

খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও নিরাপত্তা মানুষের মৌলিক চাহিদার সবচেয়ে বড় স্তর। সমাজের এক শ্রেণীর অশুভ শক্তি নিজেরা অবৈধভাবে অর্থ বৈভবের মালিক হওয়ার আশায় খাদ্যের নামে, খাওয়াচ্ছে খাদ্য নামক বিষ।

তারই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর চৌরাস্তায় অবস্থিত বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের ভেজাল খাদ্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য নিয়ে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সংবাদের জেরে সাংবাদিক জিএস জয় কে মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং যেকোনো সময় বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের হুমকি দাতা দুর্বৃত্তরা তাকে গুম করতে পারে তার প্রাণনাশ ঘটাতে পারে এই আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি সহ পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয় সেই সাথে ২৯/১০/২৪ তারিখ গাজীপুর জয়দেবপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ের সামনে এবং গাজীপুর চৌরাস্তা পুলিশ বক্সের সামনে বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাসন মেট্রো থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজল খানসহ আশেপাশের সকল প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সাংবাদিক নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার , ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার, অনলাইন ভার্সনের একাধিক সাংবাদিকের মাঝে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন হুমকি দাতারা অডিও বার্তায় স্বীকার করেছে তাদের খাদ্যপণ্যের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার ছিল। তারপরে অকথ্য ভাষায় সংবাদ প্রকাশের জন্য গালি দেয়া, প্রাণনাশের হুমকি সহ গাজীপুর চৌরাস্তায় সাংবাদিককে পেলে সেনাবাহিনীর মতো তাদেরকে ধরে গান গাওয়াবে ,ল্যাংটা করে মারবে ইত্যাদি কথা বলে সাংবাদিক এবং সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ করে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার কর্তৃপক্ষরা।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন যদি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে গাজীপুরের সকল প্রেসক্লাব সহ সারা দেশব্যাপী এই অসাধুচক্র বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মানববন্ধনে একে একে সকল সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাকর্মীরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন । পরিশেষে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অসাধুচক্র বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের বিরুদ্ধে যতক্ষণ পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মানববন্ধন সমাপ্ত হয়।

গাজীপুর চৌরাস্তা একটি ব্যস্ততম জায়গা, এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের রয়েছে যাতায়াত। এই ব্যস্ততাকে কেন্দ্র করে, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ অস্বাস্থকর খাবারজাত দ্রব্য এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে অবৈধভাবে অর্থ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের পিছনে রয়েছে শক্তিশালি সিন্ডিকেট। প্রায় অনেক বছর যাবৎ বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার এই এলাকায় দাপটের সাথে ব্যবসা করে আসছে। ছাগল লাফায় খুটির জোরে, তাদের এই অবৈধ সিস্টেমকে চলমান রাখার প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত সাপ্তাহিক মাসিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানা সহ ভোক্তা অধিদপ্তরের বিভিন্ন অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে আসছে এই চক্রটি। তাদের বিরুদ্ধে কোন সাংবাদিক কিংবা মানবাধিকার কর্মী সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের উপর নেমে আসে জীবন নাশের হুমকি।

ময়মনসিংহ রোড এর সামান্য কিছু সামনের দিকে এগোতেই ঠিক বাম হাতে রয়েছে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার যেখানে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ধরনের শিশু খাবার থেকে শুরু করে বড়দের সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের খাবার। এছাড়াও রয়েছে জন্মদিন কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অর্ডারকৃত খাবার, যে সকল খাবারগুলোর গুণগত মান ঠিক নেই বলে জানান সাধারণ ক্রেতারা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক উক্ত দোকান থেকে তার শিশু বাচ্চার জন্য একটি জন্মদিনের কেক ক্রয় করেন এবং দোকানে কর্মরত স্টাফদের তিনি বারবার বলেন এই কেকটি একজন শিশু বাচ্চা খাবে তাই একটু ভালো করে দেখে দেবেন প্লিজ। দোকানের স্টাফরা তাকে আশ্বস্ত করেন ভাই আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের কেকগুলো সবই আজকের তৈরি, কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যায় তাদের কথা ও কাজের কোনই মিল নেই। তার বিশ্বাসের উপরই তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয় নষ্ট কেক, যাহা কোন ভাবেই খাবার উপযুক্ত ছিল না। তিনি বাসায় কেকটি নিয়ে যাওয়ার পর, কেকটি খাওয়ার সময়, উক্ত কেক থেকে অনেক দুর্গন্ধ বের হয়, সাথে সাথে তিনি কেকটি নিয়ে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার দোকান বরাবর উপস্থিত হন। সাথে আরও কয়েকজন সাংবাদিক তাৎক্ষণিক ওই দোকানে গেলে তারা কেকটি পরিবর্তন করে দিতে আশ্বস্ত হয়। তখন উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ উক্ত দোকানের আরো খাবার যাচাই করলে বেশ কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার দোকানে ডিসপ্লেতে সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। যাহা ছবি এবং ভিডিও আকারে সংরক্ষণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের খাবার দুধ, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি চকলেট, লেক্সাস বিস্কুট, আরও কিছু নষ্ট জন্মদিনের কেক। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের লোকজন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য টাকা দেওয়ার চেষ্টা করে। সাংবাদিকদের সততা এবং কলমের শক্তিকে কিনতে ব্যর্থ হয়ে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্মচারীরা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে আসে।

তাৎক্ষণিক সাংবাদিকরা অনলাইনে থাকা সেনাবাহিনীর নাম্বারে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাহা সম্ভব হয়ে ওঠেনি নিরুপায় হয়ে ভোক্তা অধিকারের অনলাইন নাম্বারে কল দিলে সেই নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সবশেষে উক্ত দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার নাম্বার চাইলে কর্তব্যরত ম্যানেজার জানান তার কাছে মালিকের নাম্বার নেই। সবশেষে উক্ত দোকানের মার্কেটের মালিকের নাম্বার গণমাধ্যম কর্মীদের দেওয়া হয়। মার্কেটের মালিক হাজী ফজলুল হক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি তাদেরকে অবৈধ মালামাল বিক্রির জন্য দোকান ভাড়া দেয়নি আর এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তিনি আরো বলেন যেহেতু আপনাদের মাধ্যম থেকে বিষয়টি অবগত হয়েছি, সেহেতু আমি দোকান মালিককে বলে দিয়েছি ভবিষ্যতে যেন মেয়াদউত্তীর্ণ কোন মালামাল না পাই, এরকম অভিযোগ পুনরায় আসলে দোকান ছেড়ে দিতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি সংবাদ পত্রিকায় অনলাইন ভার্সনে প্রকাশ হলে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের নাম্বার দিয়ে মালিকপক্ষ ভুক্তভোগি দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাচ করে এবং গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক মিডিয়াভুক্ত জাতীয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় মন্তব্য করে, যা প্রচন্ডরকম মানহানীকর, সেই সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুনামধন্য, দেশের গর্ব সেনাবাহিনীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে, কটাক্ষ করে, ব্যঙ্গ করে কথা বলে মানহানী করেছে, যা খুবই আপত্তিকর। পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদককে যেখানে পাবে, সেখানে মেরে ফেলবে হুমকি প্রদান করে। হুমকিদাতা কথা-বার্তার এক পর্যায়ে স্বীকার করে নেয় বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য আছে বিষয়টি সঠিক। এই সংবাদ লেখার সময় পত্রিকা কর্তৃপক্ষ গাজীপুর বাসন মেট্রো থানায় বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা যায়। বাসন মেট্রো থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর এর সাথে কথা হলে সে জানায়, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে অবশ্যই অপরাধিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত গাজীপুর ধান গবেষণা কেন্দ্রে সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular