মো: দুলাল মিয়া
এবার কার্তিকের মাঝ পথেই শীতের আমেজ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হতে শুরু করেছে শীতের পরশ। ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে।
ধানের পাতায়, ঘাসের ডগায় জমতে শুরু করেছে শিশির বিন্দু। পায়ের স্পর্শে অনুভূত হচ্ছে হিমেল পরশ। সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
ফসলের মাঠে মাঠে উঁকি দিচ্ছে আমন ধান, তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কে ইজিবাইক, পিকআপ, ট্রাক মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। ভোরের ঘন কুয়াশার স্নিগ্ধতার মাখামাখিতে এখন এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াশা মাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছাসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসল্লিগণ, ছোট্ররা, হাঁটতে বের হওয়া মানুষ ও কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া শ্রমিকরা।
এ সময়ে কুয়াশার কারণে এবার শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, এখন আর রাতে ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। শেষ রাতে পাতলা কম্বল ও কাঁথা জড়াতে হচ্ছে শরীরে। তবে ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীত আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই। কার্তিক মাস শেষ হলেই শীত আসতে পারে।এদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ জেলার কৃষকরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ঘোলদাও এলাকার রাজ্জাক মিয়া বলেন, গতবছর কার্তিক মাসের মাঝ পথে এমন কুয়াশা ছিল। তবে এবার ও এমনি কুয়াশা দেখছি। ফজরের নামাজ আদায় করে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে, আজকের সকালের কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীত আসতে বেশি দিন বাকি নাই।
খোলাহাটী দারুস সালাম মসজিদের মোহাজ্জিন আতিকুর ইসলাম বলেন, যে পরিমাণ কুশায়া পড়ে গেছে, এতে হয়তো শীতের আগমন ঘটতে চলছে। গেল কয়েকদিন আগে বৃষ্টি, তার পরে হালকা গরম এরপর সকালে কুয়াশা। এ সব মিলিয়েই আমাদের এই বাংলাদেশর ছয় ঋতুর কিছুটা পরিবর্তন ঘটছে। সব যেন একটু আগে পিছে হচ্ছে। তবে এবার মনে হয় শীত একটু আগে ভাগেই পড়বে।
ইজিবাইকচালক মিলন মিয়া বলেন, কুয়াশা মানেই শীত আসার নমুনা। কয়েকদিন থেকে রাতে চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে তাতে তেমন সমস্যা নেই। তবে সকালে যখন গাড়ি নিয়ে বের হই তখন স্নিগ্ধ আবহাওয়া বেশ ভালোই লাগে।
স্থানীয় ইংলিশ কোচিং একাডেমিক সেন্টারের শিক্ষক মোঃ আঃ হাই ভোরের কন্ঠকে বলেন, ক্যালেন্ডারের পাতায় নভেম্বর মাস মানেই প্রাকৃতিক নিয়মেই কুয়াশা পড়ার কথা। তবে আস্তে আস্তে পড়ার কথা থাকলেও কয়েকদিন থেকে একটু বেশিই পড়েছে কুয়াশা।