নিজস্ব প্রতিবেদক,
ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় “রেমাল”। আবহাওয়া অফিস পায়রা বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” এর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে। ইতিপূর্বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় শনিবার (২৫ মে) দুপর ২টায় নলছিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং “রেমাল” এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় কয়েকটি দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো ও পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ কমিটি, কন্ট্রোল রুম পরিচালনা কমিটি, ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম এবং মেডিকেল টিম কমিটিগুলো গতকাল দুপুর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে নলছিটি উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ প্রায় ৫০ – ৬০ কি. মি. এবং নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেশি হয়েছে।
ক্রমশ আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, ১১৫টি সাইক্লোন শেল্টার, ১১টি মেডিকেল টিম (মানুষ), ৩টি (প্রাণী) মেডিকেল টিম ও প্রায় ১হাজার সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম।
ঘূর্ণিঝড় রোমাল মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে থানার পুলিশ সদস্য, সিপিপি ভলান্টিয়ার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম, রেড ক্রিসেন্ট সহ বিভিন্ন এনজিও কর্মীগণ। উল্লেখ্য, উপজেলায় চারটি ঝুঁকিপূর্ণ ভেরি বাধ রয়েছে।
জোয়ারের প্রভাবে সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফেরীর গ্যাংওয়েসহ ফসলী জমি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
জলচ্ছাস অতংকে রয়েছে হাজারো মানুষ।