আব্দুর রশিদ তারেক- নওগাঁ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে সারা দেশের মতো নওগাঁয় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত ১২ আগস্ট নওগাঁ পুলিশের কার্যক্রম শুরু হলে জনমনে স্বস্তি এসেছে। দেশের এ পরিস্থিতিতে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন। পতনের পর গত কয়েকদিন নওগাঁ ভাংচুর, লুটপাট করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। এ পরিস্থিতিতে নওগাঁ মান্দা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরমান্দা রঘুনাথ জিউ মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয় স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। মন্দিরটির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরতে গত বুধবার থেকে সেখানে পাহারা বসিয়েছে স্থানীয় জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামায়াত–শিবিরের ২০-২৫ জনের একটি টিম মন্দিরে অবস্থান করছেন। গত কয়েক দিন ধরে পালাক্রমে মন্দিরটি পাহারা দিচ্ছেন তারা। আশেপাশে লোকজনের সাথে কথা বলেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এসময় কথা হয় উপজেলা ভারশো ইউনিয়নের জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী রফিক রতনের সাথে। তিনি বলেন, এই মন্দিরটির বেশ পরিচিতি রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মন্দিরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এ চেতনা থেকেই মন্দিরটিতে পাহারা বসানো হয়েছে। হিন্দুসহ ভিন্ন ধর্মাস্বলীদের জানমাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নিদের্শে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মন্দিরটিতে পাহারা বসিয়েছে।মন্দির পুরোহিত সমর চন্দ্র বিশি বলেন,গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর মন্দির সংগলগ্ন বাজারে আওয়ামীলীগ কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় কতিপয় দূবৃর্ত্তরা। তারা এলাকার কেউ ছিল না। এর পর থেকে সংখ্যালঘু লোকজনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুরোহিত আরো বলেন, এরপর গত বুধবার থেকে জামায়াত–শিবির নেতাকর্মীরা মন্দিরটি পাহারা দিচ্ছেন। দু:সময়ে এসে তারা পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখন স্বস্তিবোধ করছি। এখন আর শঙ্কা নেই। মন্দিরের দায়িত্বে থাকা সুফল চন্দ্র দাস বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোকজন মন্দির পাহারা দিবে এটা কখনো ভাবিনি। জামায়াত-শিবির একটি উগ্র মৌলবাদী সংগঠন আমার আগের এ ভাবনা পাণ্টে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমীর আমিনুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দূবৃত্তরা। একই সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশকিছু দোকানপাট, বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে দূবৃত্তরা। এ পরিস্থিতিতে রঘুনাথভিউ মন্দির পাহারা সহ সকল মন্দির ও হিন্দু পল্লীতে বিশেষ নজরদারী রেখেছে দলটির নেতাকর্মীরা।