মোঃ খলিলুর রহমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিল্প, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে সুপরিচিত নবীনগরের পূর্ব এলাকার ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চল। এই পূর্বাঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছেন দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁন, আয়াত আলী খান সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আহমদ আলী, সাবেক প্রকৌশলী জিয়াউল হক, দানবীর মোন্তাসির অপু, দানবির রিপন মুন্সি, রাজনীতিবিদ জিয়াউল হক সরকার, আলমগীর ইকবাল, এডভোকেট মাহবুব আলম খোকন, মনিরুজ্জামান মনির, সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস নাজমুল করিমের মতো হালের অনেক খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। রিপন মুন্সি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয় না হয়েও সমাজ কল্যান মূলক কাজের মাধ্যমে পূর্ব এলাকার সুপরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলাধীন নারুই ব্রাহ্মণ হাতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রিপন মুন্সি। রিপন মুন্সি স্পাইডার গ্রুপের স্বত্বাধিকারী, দানবীর, শিক্ষানুরাগী, তিনি সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুঃখী অসহায় মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেন। তিনি পতিত জমিতে জারুদিঘী নামক বিশাল পুকুর কেটে মৎস্য চাষের ব্যবস্থা করেছেন তার নিজ গ্রামে। কৃষি জমিতে সবজি, তিল, সরিষা, ড্রাগন, মালটা, আম চাষ করে এলাকার মাছ, সবজি, মাংসের চাহিদা পূরণ করে শহরেও বিক্রি করছেন। তার এই সকল কর্মকান্ডে প্রায় দুইশত লোক কর্ম করে উপার্জন করছেন।
তার গ্রামের লোকজন বলেন একজন রিপন মুন্সি অথবা রিপন মিয়া এমনি সৃষ্টি হয়নি, হওয়া যায় না, তার পিছনে থাকে জানা অজানা অনেক সুখ দুঃখের ইতিহাস, ঠিক তেমনি রিপন মিয়া পাঁচ দশক বা ৫০ বছর আগে এক কঠিন জীবন সংগ্রামের মুখোমুখি হয়, বাস্তব সংগ্রাম এবং জীবন বাজি রেখে কিশোর রিপন মুন্সী এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যান, স্বপ্নের সাথে সাথে দৃঢ় প্রত্যয় কঠিন জীবন সংগ্রাম তাকে আত্মপ্রত্যয়ী করে তোলে। ছোট করে দেখেননি কোন কর্মকে, আর আজ সে কর্মই তাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসে, সকল দুর্গম পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে রিপন মুন্সী এখন নবীনগর পূর্ব এলাকার সুপরিচিত মুখ।
রিপন মুন্সি শিল্পপতি হয়েও গ্রামে আসেন সপ্তাহে একবার, এলাকার ও গ্রামের লোকজনের খবরাখবর রাখেন, অসহায় লোকজনকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেন।
রিপন মুন্সি স্পাইডার গ্রুপের মাধ্যমে বিদেশি ডলার আয় করে রাষ্ট্র গঠনে বিশাল ভূমিকা রাখছেন। অন্যদিকে সহস্র শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দুঃখী মানুষের দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা করেছেন।
কোন পিতা তার কন্যা অর্থ অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না, কোন অসুস্থ ব্যক্তি টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না এমনই শত সামাজিক সমস্যা দূরীকরণ সহ মসজিদ-মাদ্রাসা দান করা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে দানবীর রিপন মুন্সির বেলায়। কিন্তু রিপন মুন্সির এই কর্মকান্ডেরও সমালচনা হয়।
ষড়যন্ত্র করে রিপন মুন্সির নামে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে সংবাদ প্রকাশও করেন।