বরিশালে সোহেল নামে এক কিশোরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিহত সোহেলের বাবার রিকশা চুরি করতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় । এ ঘটনায় ইমরান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গেলো বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ইমরানকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকালে ইমরান তার নিজ বাড়িতে দীর্ঘ ২ মাস পরে ফিরে এলে তাঁরা তাকে আটক করে নিখোঁজ সোহেলের খোজ জানতে চায় ।তখন ইমরান জানায়, সোহেলকে আরও ২ মাস আগে তাঁরা ৪ বন্ধু মিলে হত্যা করেছে তারা।
পরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ও ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ সোহেলের মরদেহের অংশবিশেষ খুঁজে পান।
পুলিশ জানায়, বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়ক এলাকার রিকশা চালক ফরিদ ফরাজীর ৫ সন্তানের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ সোহেল। সোহেল বরিশালেই একটি ট্রাকের হেলপার ছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সোহেল তার বাবা ফিরোজ ফরাজীর ভাড়ায় চালিত রিকশা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খায়রাবাদ সেতুতে যায় । এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংকস খাওয়ায় তার ৪ বন্ধু হৃদয়, বাপ্পি, ইমরান ও রাকিব। এনার্জি ড্রিংস খেয়ে সোহেল অচেতন হয়ে পরলে তাকে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়ে তার রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় বন্ধুরা।ঝালকাঠি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ঠিকানা বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় হলেও হত্যাকাণ্ডটি বরিশাল ও ঝালকাঠির বর্ডার এলাকায় হওয়ায় সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় পলাতক হৃদয়,বাপ্পি, ও রাকিবকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।